চিরিরবন্দরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে প্রেমিকার অনশন
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে গত দুই দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক তরুণী। ওই তরুণী বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই উধাও হয়ে গেছে প্রেমিক, শ্বশুর ও শাশুড়ি। এ বিষয়ে কথা হয় ওই তরুণীর সঙ্গে, তিনি জানান, দীর্ঘদিনের প্রেম। মন্দিরে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে গাজীপুরে ভাড়া বাসায় একসঙ্গে থাকেন কয়েক মাস। তবে হঠাৎ উধাও হয়ে যান প্রেমিক। পাগলের মতো খুঁজেও ভালোবাসার মানুষটির সন্ধান পাননি প্রেমিকা। শেষমেশ নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেন প্রেমিকা। স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে নিজের জীবন দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ভুক্তভোগী তরুণী। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এমন দাবিতেই অনশন করছেন এক তরুণী। প্রেমিকের নাম মনস চন্দ্র রায়। তিনি উপজেলার সাইতাড়া ইউনিয়নের খোচনা গ্রামের ডাক্তারপাড়া এলাকার সত্যেন্দ্র নাথ রায় এর ছেলে মানস চন্দ্র রায়। শনিবার থেকে তার বাড়িতেই অনশনে বসেন ভুক্তভোগী তরুণী। জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে মানস চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন কথা বলার পর গত ২০২১ সালের ১৬ই অক্টোবর পালিয়ে গাজীপুর মাওনায় এক মন্দিরে বিয়ে করে স্বামী স্ত্রী মত বসবাস করতেন। তরুণী জানান, কিছুদিন আগে মানস চন্দ্র রায় আমাকে গাজীপুর থেকে দিনাজপুর নিয়ে আসে এবং সুকৌশলে আমাকে রেখে পালিয়ে যায়। তার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। ফোন নম্বর ব্লাক লিস্টে রাখে। আমি একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছি । এদিকে সম্পার অবস্থানের পর থেকেই পলাতক শ্বশুর সত্যেন্দ্র নাথ ও শাশুড়ি ভারতী রানী। আর মানস রায় চীনের চাংশা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করছেন।
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মাহাফুজুল ইসলাম আসাদ
করোনাকালীন সময় দেশে আসার পর ঢাকায় অবস্থান করে অনলাইনে লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সম্পা রায় বলেন, আমি খুবই দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। আমি কোথায় যাবো আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এখন আমি আমার শ্বশুর-শাশুড়ি স্বামী নিয়ে সংসার করতে চাই। ও যদি আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয় তাহলে আমি আত্মহত্যা করব। সোমবার বিকেলে সরেজমিনে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শ্বশুরবাড়িতে তালাবদ্ধ বাড়ীর সামনে অবস্থান নিয়েছেন সম্পা রায়। সাইতাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি গত দুই দিন থেকে বিয়ের দাবীতে ছেলের বাসায় অবস্থান করছে। আমরা চেয়েছি বিষয়টি মীমাংসা করতে। কিন্তু পরিবার কিছুতেই এ মেয়ে মেনে নেয় না। তারপরও আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মানস চন্দ্র ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের সবকয়টি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘ঘটনাটা আমার জানা নেই। তবে মেয়েটি যদি আইনের সাহায্য চায়, তাহলে তাকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।’
বার্তা প্রেরক- মাহাফুজুল ইসলাম আসাদ
চিরিরবন্দর দিনাজপুর সংবাদ দাতা মোবাঃ 01761251558